• শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১২ ১৪৩১

  • || ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘বিশ্বে ১০ লাখ নারী ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত’

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩  

বিশ্বে ১০ লাখ ফিস্টুলা রোগীর মধ্যে বাংলাদেশে এই রোগীর সংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি। প্রতিবছর বিশ্বে ৫০ হাজার নতুন রোগী যোগ হচ্ছেন। আর দেশে যোগ হচ্ছেন দুই হাজারের মতো। বাল্যবিবাহ রোধ ও কম বয়সে গর্ভধারণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি নিরাপদ প্রসবের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

সোমবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি সভাকক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূল দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তাদের আলোচনায় বিষয়টি উঠে আসে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএইপএ) বাংলাদেশ ও ল্যাম্ব হাসপাতালের এফআরআরইআই প্রজেক্টের কারিগরি সহায়তায় এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বলা হয়, রংপুর বিভাগের মধ্যে লালমনিরহাট জেলায় ফিস্টুলা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, এরপর রংপুর জেলা ও সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়।

ফিস্টুলা রোগ কী, আক্রান্তের কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি, শনাক্তের উপায়, চিকিৎসাসেবা ও প্রতিরোধে করণীয়সহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন এফআরআরইআই’র ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. তাহমিনা খাতুন। 

সভায় এফআরআরইআই প্রজেক্ট (ল্যাম্ব) ম্যানেজার মাহাতাব উদ্দিন লিটন বলেন, ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিলম্বিত প্রসব বা বাধাগ্রস্ত প্রসব, বাল্যবিবাহ ও কম বয়সে গর্ভধারণ, জরায়ুতে অস্ত্রোপচার, অদক্ষ ধাত্রী বা প্রতিবেশীর মাধ্যমে ডেলিভারি করানোসহ সচেতনতার অভাবে ফিস্টুলা রোগ বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, নারী জননাঙ্গের ফিস্টুলা প্রতিরোধযোগ্য। প্রাথমিকভাবে ফিস্টুলা শনাক্ত হলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে হবে। রংপুর বিভাগে এ রোগ নিরাময়ে ল্যাম্ব হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফিস্টুলা রোগীর চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে ল্যাম্ব হাসপাতালে। পাশাপাশি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ফিস্টুলা রোগীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে।

২০২২ সালে ল্যাম্ব ইউএনএফপি ফিস্টুলা প্রকল্পের অধীনে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৯০ জন ফিস্টুলা রোগীকে শনাক্ত করে। এদের মধ্যে ৬৭ জন অপারেশনের মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরিবারে ফিরে গেছেন। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূল করার লক্ষ্যে প্রসবজনিত ফিস্টুলা সম্পর্কিত দ্বিতীয় জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করেছে। সরকারিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এফআরআরইআই প্রজেক্টের (ল্যাম্ব) মনিটরিং অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন কো-অর্ডিনেটর কামরুজ্জামান, জেলা সমন্বয়কারী মঞ্জু আরা বেগম, সিনিয়র সাংবাদিক মেরিনা লাভলী ও রংপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী প্রমুখ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –