• শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

  • || ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চরাঞ্চলে খরা, ক্ষেতে সেচ পানিতে রক্ষার চেষ্টা

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩  

কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্র বেষ্টিত রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র গরম ও খরার কারণে বিভিন্ন ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেল খরচ করে ওইসব ফসলে সেচ দিয়েও উপায় মিলছে না কৃষকদের। এ অবস্থায় তারা আকাশ পানে চেয়ে বৃষ্টি কামনা করছেন।

জানা গেছে, রৌমারির ব্রহ্মপুত্র পাড়ের চরাঞ্চলের পাটসহ বিভিন্ন ফসল অনেকটা বৃষ্টির পানির উপরেই নির্ভরশীল। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। ফলে বৃষ্টির পানির অভাবে ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হচ্ছে। মরে যাচ্ছে পাট, বোরো ধান, তিল ও শাক-সবজির আবাদ।

গত বছর এখানে পাটের মণ ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক বিঘা জমিতে সাধারণত ১০ থেকে ১২ মণ পাট হয়। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে হাল, বীজ,সার ও শ্রমিক মূল্য দিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। দাম ভালো পাওয়ার আশায় এবার চাষিরা বেশি করে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু খরার কারণে পাট যেমন পুড়ে নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পাট জাগ দেওয়ার পানিরও সংকট দেখা দিতে পারে। ফলে এবার পাট চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

আলগার চর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্টে দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। কিন্তু তীব্র রোদ ও খরার কারণে আমার ক্ষেতের অনেক পাটগাছ মরে যাচ্ছে। ওই জমিতে পানি সেচ দেওয়ারও কোনো উপায় নেই। চোখের সামনেই আমার পাটের আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমি। প্রচণ্ড খরার কারণে পাটে ‘মাইট’ নামের এক ধরণের পোকার উপদ্রব দেখা  গেছে। এখন পাটের জন্য বৃষ্টির দরকার। এছাড়া খরার কারণেও এবার পাট বড় হচ্ছে না।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –