• শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

  • || ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাঠজুড়ে সোনালি ধান, কৃষকের মুখে অম্লান হাসি

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৩  

বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি ধান। কাক ডাকা ভোর থেকে পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এখানে বছরে আসে দুটি ধান। একটি বোরো এবং অপরটি আমন ধান। দুই মৌসুমের ফসলে জীবিকা নির্বাহ করেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর অঞ্চলের কৃষকরা। শনিবার সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় ২২ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।

এ অঞ্চলটিতে ৬০ শতকে ১ বিঘা ধরা হয়। সে হিসেবে এক বিঘা জমিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের জন্য কৃষকের খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। আর জমি থেকে বাড়িতে ধান পৌঁছাতে স্থানভেদে কৃষকদের গুণতে হয় এক হাজার টাকা। সেগুলো মাড়াই করতে গুনতে হয় ১৫০০ টাকা। মোটকথা, এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে সব মিলে কৃষকের খরচ পড়ে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। পার্বতীপুরে স্থানভেদে একমণ (২৮.৫ কেজি) ধানের দাম ৭৫০ টাকা। চাষাবাদের খরচ হিসাবে এ অঞ্চলে ধানের দাম তেমন নেই বলে অনেক কৃষকই অভিযোগ করেন। 

এ বিষয়ে পার্বতীপুরের হাবড়া ইউনিয়নের কৃষক মো. আনারুল হক বলেন, ‘আমাদের ধান চাষে লাভ নেই। দিনদিন যে পরিমাণ খরচ বাড়ছে, সার-ওষুধের দাম বাড়ছে, তাতে ধান আবাদে লাভ হয় খুবই কম। আবার ঝড় হলে বড় ক্ষতি হয়ে যায়। ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পারলে আমাদের লাভ হতো। সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার হলে আমরা ন্যায্যমূল্য পেতাম।

এদিকে, বাজারে বোরো ধানের আগমনে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম। তবে চাল ও ধানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সিন্ডিকেট মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এ এলাকার কৃষকরা।

পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাকিবুজ্জামান বলেন, ‘এবার আমাদের পার্বতীপুরে ধান চাষ ভালো হয়েছে। কোনো ধরনের রোগবালাই ছিল না। আশা করি, ধান কাটা শেষ হলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। কৃষকরা আগাম কিছু ধান কাটছেন। তারা ভালো দামের আশা করছেন।’

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –