• শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

  • || ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চরাঞ্চলে বাড়ছে চাষাবাদ   

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৩  

তিস্তার বিস্তৃত চারণভূমি এখন আবাদযোগ্য জমি। চরগুলোতে এখন নানা জাতের ফসল আবাদ করে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন চাষাবাদের সঙ্গে বাড়ছে সাবলম্বী পরিবারের সংখ্যাও। তেমনি এক চাষি বুলবুলি বেগম। ৪০ বছর বয়সী এ নারী চরের কৃষকদের কাছে সাবলম্বী হবার অনুপ্রেরণা।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর কোলঘেষা গজঘণ্টা ইউনিয়নের গ্রাম ছালাপাক গ্রামে থাকেন বুলবুলি বেগম। বেশ কয়েকবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হার মানেনি রাক্ষুসে তিস্তার কাছে। বরং শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা বালুচরে লিখেছেন দিনবদলের গল্প। দিনমজুর স্বামীর সংসারে হাল ধরে ভাঙা ঘরে আলোর বাতি জ্বালিয়েছেন তিনি। এখন চরের বুকে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি ছাগল পালন করে সাবলম্বী হয়েছে এই নারী।  

বুলবুলি বেগম বলেন, আগে তামাক চাষ করতাম। এখন চার বছর ধরে মিষ্টিকুমড়া চাষ করছি। এবার প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছি। সংসারে অনেক আয় উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন জাতের ফসল আবাদের পাশাপাশি ছাগল পালন করছি। দুই বছর আগে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ১টা ছাগল কিনেছিলাম। এখন ১২টা ছাগল রয়েছে। ঈদে বিক্রি করলে এক লাখ টাকার বেশি লাভ হবে।

ছালাপাক গ্রামে প্রায় ৫০০ কৃষক পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি। যাদের ৮৫ ভাগ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। ভূমিহীন, গৃহহীন ও নিম্ন আয়ের এসব পরিবার এখন চরজুড়ে মিষ্টি কুমড়া, আলু, ভুট্টা, বাদাম, পেঁয়াজ, ধান চাষাবাদ করছেন। পাশাপাশি তাদের রয়েছে গবাদি পশু ও ছাগল পালন। তবে কয়েক বছর ধরে চরে ভালো ফলন ও লাভ বেশি পাওয়ায় বেড়েছে চাষাবাদ।

ছালাপাক, রমাকান্ত ও মর্ণেয়ার চরে ১০০টি পরিবারে এক হাজারের বেশি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগল পালনকারীদের কমবেশি সবাই প্রশিক্ষিত। একেকটি ব্র্যাক বেঙ্গল ছাগল বছরে সর্বনিম্ন দুটি এবং সর্বোচ্চ পাঁচটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এ জাতের ছাগল পালন করে বুলবুলির মতো অনেকে সাবলম্বী হয়েছেন বলে জানিয়েছে এমফোরসি প্রকল্পের ছাগল পালনে প্রশিক্ষণ দেয়া প্রশিক্ষক আফতাবুল ইসলাম।

উত্তরের জীবনরেখা তিস্তা নদী। বর্ষায় দুকূল ছাপিয়ে তিস্তাপাড়ের মানুষদের সর্বশান্ত করে এই নদী। আবার শুষ্ক মৌসুমে শান্ত তিস্তাই আশা জাগায় চরের কৃষি অর্থনীতির। নদীপাড়ের মানুষদের সারা বছর বেঁচে থাকার রসদ জোগায় জেগে ওঠা ধুধু বালুচর। এ কারণে সকল প্রতিকূল আবহাওয়ায় নদীর সাথেই মিতালি তাদের। সঙ্গে চরের কৃষি অর্থনীতিকে পুঁজি করে দারিদ্রতাকে দূরে ঠেলে সাবলম্বীও হয়েছেন অনেক পরিবার।

চরের কৃষক মাসুদ রানা। নিজের জমি নেই। তারপরও থেমে থাকেননি তিনি। তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে প্রায় ৫৫ বিঘা জমিতে কুমড়া চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ। এরই মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে ৮১ মণ কুমড়া বিক্রি ভালো লাভ করেছেন তিনি। মাসুদ রানার মতো শামছুল-ইনজেমা দম্পতির মুখেও তৃপ্তির হাসি। তারা মিষ্টিকুমড়ার পাশাপাশি মরিচ চাষ করেছেন। গত বছরে শুধু মরিচে লাভ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এবছর আরও বেশি হবার সম্ভাবনা থাকায় খুশি তারা।

প্রতি বছর বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিস্তাপাড়ের বুলবুলি ও মাসুদ রানাদের লড়তে হয় নদী ভাঙনের সঙ্গে। কখনো নদীগর্ভে বিলীন হয় তাদের বসতভিটে, কখনো চাপা পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। তারপরও হাড়ভাঙা পরিশ্রমে থেমে থাকে না জীবনযুদ্ধ। চর ইছলি গ্রামে থাকেন মফিজুল ইসলাম। নিজের ভিটেমাটি বলতে তেমন কিছু নেই। ভাঙা-গড়ার খেলায় তিস্তায় বেশ কয়েকবার নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তিনি। এখন চরের বুকে তোলা দুটো খড়ের ঘর, আর পরের জমিতে চাষাবাদ করা ফসলই তার সম্পদ। নিজের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় একটি বাজারে বিক্রি করতে তুলছেন। রসুন ও পেঁয়াজের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করেছেন তিনি।

চলতি মৌসুমে চরের দুই বিঘা জমিতে রসুন ও পেঁয়াজের পাশাপাশি এক একর জমিতে আলু আবাদ করেছিলেন কৃষক মফিজুল। আলুর বাম্পার ফলন এবং খেতে থাকতেই ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি।

এই মফিজুল ইসলাম বলেন, 'আবাদ সুবাদ করি এ্যলা আগের মতো বেচাবিক্রি নিয়্যা চিন্তা করা নাগে না। আলুত এবার ভালোয় লাভ হইছে। পিয়াজ রসুনও ভালো আবাদ হইছে। দাম নিয়্যা মনোত কোনো কষ্ট নাই। আলুর লাভের টাকা দিয়্যা ঘরোত নতুন টিনের চালা তুলিম। আর কিছু টাকা থাকি ঋণ পরিশোধ করিম।'

চরের হাজারো কৃষকের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। তিস্তার বিভিন্ন চরে আলু, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, শশা ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসলের পরিচর্যা চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যেসব ফসল একটু আগাম রোপণ করা হয়েছে, এখন সেগুলো তোলা হচ্ছে বাজারে। আবার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরাসরি চরেও আসছেন কিছু কিছু পাইকার। এখানে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

তিস্তায় ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে। খরস্রোত নদীর চরের এখন সব দিকটাই সবুজপ্রান্তর। এই মৌসুমে উত্তরের চরগুলোতে বেড়েছে চাষাবাদ।

নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চর ঘিরে কৃষকের ব্যস্ততা শুধু রংপুরেই নয়, ব্যস্ততা বেড়েছে চরকেন্দ্রিক নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত এ অঞ্চলের চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নদীবেষ্টিত চর ২ হাজার ৯৪৫ হেক্টর আর জলঢাকায় ৩২৮ হেক্টর। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী ও শোলমারী ইউনিয়নে তিস্তার ছোট-বড় প্রায় ২৩টি চর আছে। এসব চরের বেশির ভাগ বালুর বুকে সুখের দোল খাচ্ছে সবুজের ফলন।

একই চিত্র লালমনিরহাটে। এই জেলার সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার বিস্তীর্ণ চরে চাষিরা ফলাচ্ছেন সোনার ফসল। এখানকার চরাঞ্চলের সবজির প্রাচুর্য দেখে যে কারও চোখ জুড়াবে। ফসলের বাম্পার ফলনের সফলতায় হাসি ফুটেছে কৃষকের ঘরে ঘরে।  

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, তিস্তার বুকে এ বছর চরের পরিমাণ ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর। যার মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ফসলের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০০ হেক্টর বেশি। ফসল ভালো হওয়ার পাশাপাশি কাক্সিক্ষত বাজার মূল্য থাকলে তিস্তার চর থেকে কৃষকরা পাবেন ২৯২ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৭ টাকা। এই মৌসুমে তিস্তার চরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ফসল চাষাবাদ হবে।

রংপুর বিভাগ মূলত চরের জন্য বেশ সুপরিচিত। বিভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে এমন চরের সংখ্যা ছয় শতাধিকেরও বেশি। শুকনো মৌসুম ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় এসব চরে নানা ধরনের ফসল ফলিয়ে থাকেন কৃষকরা। প্রতি বছর রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর চরগুলোতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ফসল। আর রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলের এবার ৭৬৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে মিষ্টিকুমড়া, যার বাজার মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।

শুধু ফসল উৎপাদনেই থেমে নেই চরাঞ্চলের কৃষকরা। বছরে ২৫ লাখ গবাদিপশুর যোগানও দিচ্ছেন তারা। তবে আকস্মিক বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় সময়ই তাদের হোঁচট খেতে হয়। চরের জমিতে চাষাবাদে প্রধান সমস্যা সেচ ব্যবস্থা। সমস্যা সমাধানে চরে গভীর কূপ খনন, সোলার পাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। একইসাথে সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে তদারকির কথা বলছে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, রংপুর অঞ্চলে প্রায় এক লাখ হেক্টর চরে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফসল। এরই মধ্যে চর অঞ্চলের কৃষকদের সহযোগিতায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে উৎপাদন বাড়বে দ্বিগুণ। প্রতি বছর উত্তরের চরগুলোতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে শুধু কৃষিতেই নয়, গবাদি পশুর চাহিদারও বড় একটি জোগান দিয়ে থাকেন চরের বাসিন্দারা। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতি বছর উত্তরাঞ্চলের চরগুলোতে প্রায় ২৫ লাখ গবাদি পশু লালন-পালন হয়ে থাকে। যার বাজার মূল্য এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে আকস্মিক বন্যা আর নদী ভাঙনে এসব গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়তে হয় চরবাসীদের।

২০২০ সাল থেকে রংপুর জেলার চরের বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে চর বাজার উন্নয়ন প্রকল্প ‘মেকিং মার্কেট ওয়ার্কস ফর দ্য চর-এমফোরসি’। প্রকল্পটির অর্থায়নে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও সুইজারল্যান্ড সরকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদে উন্নত প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ ও উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কৃষকদের ফসল সংগ্রহ, পরিচর্যা, ফসলের মান নির্ধারণ, সংরক্ষণ, বাজার সংযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা। এতে করে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত হবার পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কৃষকদের যোগসূত্রও তৈরি হয়েছে।

সুইস কন্ট্যাক্ট এমফোরসি প্রজেক্টের ইন্টারভেশন এরিয়া ম্যানেজার কৃষিবিদ আনোয়ারুল ইসলাম এই বলেন, চর এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আয় বাড়ানো ও বিপদাপন্নতা কমিয়ে আনতে কাজ করছে এমফোরসি। এজন্য আমরা মাঠ পর্যায় থেকে পদ্ধতি উন্নয়ন করছি। এমফোরসি প্রজেক্ট রংপুরসহ ৬ জেলার ২৭টি উপজেলার প্রায় ৯০০ চরে কাজ করছে। এর সেবাভোগী চরের ২ লাখের বেশি পরিবার।

এদিকে নদী গবেষক ও উন্নয়ন বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষিজমি কমতে থাকায় চরগুলোই দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্যের যোগানের কেন্দ্রবিন্দু। তাই চরের মানুষদেরকে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত রেখে তাদের সাবলম্বী করতে সরকারে থাকা নীতিনির্ধারকদের বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে।
 
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বলেন, নদী শাসনের মধ্য দিয়ে চরগুলোতে সুরঙ্গ করা গেলে দেশের কৃষিতে বড় অবদান রাখা সম্ভব। একদিনে দারিদ্র বিমোচন, সাবলম্বী পরিবারের সংখ্যা বাড়বে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক এই সংকটে খাদ্য উৎপাদনের বড় যোগান হতে পারবে দেশের উত্তরের চরাঞ্চলগুলো।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও উন্নয়ন গবেষক কুন্তলা চৌধুরী বলেন, চরাঞ্চলের বাসিন্দান্দের জন্য কৃষিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে তাদেরকে জলবায়ু ঝুঁকি বীমার আওতায় আনতে হবে। চরে চাষাবাদ বাড়লে দেশের কৃষি অর্থনীতি একদিনে সমৃদ্ধ হবে, অন্যদিকে চরাঞ্চলে সাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বাড়বে।  

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর দেশে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ কৃষি জমি কমছে। কিন্তু পরিমাণ বাড়ছে চরের। তাই চরের কৃষি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ প্রকল্পের পাশাপাশি বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় নানা রকম ফসলের জাত উদ্ভাবনের ওপর নজর দেওয়া জরুরি।

সূত্র- ঢাকা পোস্ট

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –