• শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

  • || ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিনাজপুরে একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়বেন ৬ লাখ মুসল্লি

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৩  

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দান হিসেবে খ্যাত দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় মাঠে ছয় লাখ মুসল্লি পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। এ লক্ষ্যেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।

সবুজ ঘাসে মোড়ানো দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ মাঠের আয়তন ২২ একর। মাঠের পশ্চিমে লাল খয়েরি আর সাদা রংয়ের মিশ্রণে ৫১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের সুউচ্চ ঈদগাহ মিনারটি যে কারও নজর কাড়ে। বাংলাদেশ তথা এশিয়া মহাদেশের বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে প্রায় ছয় লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের জন্য গোর-এ-শহীদ মাঠ প্রস্তুত করছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। 

ঈদের দিন সকাল ৯টায় গোর-এ-শহীদ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী।

দিনাজপুর শহরের প্রায় মাঝখানে অবস্থিত ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দান। মাঠের আয়তন প্রায় ২২ একর। মাঠের পশ্চিমে লাল খয়েরি আর সাদা রঙের মিশ্রণে ৫২গম্বুজ বিশিষ্ট ৫১৬ফুট দৈর্ঘ্যের সুউচ্চ ঈদগাহ মিনারটি যে কারও নজর কাড়ে। আয়োজকরা জানান, মিনারটি তৈরী হবার পরে ২০১৭ সালে প্রথম বৃহৎ পরিসরে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল গোর-এ-শহীদ ময়দানে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ১৯টি প্রবেশ পথে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে পর্যবেক্ষন টাওয়ার। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। 

এছাড়াও স্বাস্থ্য ক্যাম্প, ওযুখানা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইমামকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা থেকে ৫ শতাধিক মুকাব্বির নিয়োজিত রাখার কথাও বলা হয়েছে।

সর্ববৃহৎ এই ঈদগাহের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। তবে আয়তনের দিক দিয়ে দিনাজপুর ঈদগাহ মাঠ চারগুণ বড়। গোর-এ শহীদ ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ আর নেই। এখানে ঈদের নামাজ আদায় করছেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আশা করা হচ্ছে এবার ঈদের জামাতে ছয় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত।

উল্লেখ, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে  এই মাঠে ঈদের জামাত হয়ে আসছে। তবে বড় কোনো মিম্বর ছিল না। ২০১৫ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করেন। মিনারটি তৈরি হয়েছে মোগল স্থাপত্য রীতিতে। মেহরাবের উচ্চতা ৫৫ ফুট। ৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট ইদগাহ মিনার। দুই প্রান্তে দুটি মিনারের উচ্চতা ৬০ ফুট। মাঝখানের দুটির উচ্চতা ৫০ ফুট। আর টাইলস করা মেহরাবের উচ্চতা ৪৭ ফুট। এতে খিলান রয়েছে ৩২টি। প্রতিটি গম্বুজে আছে বৈদ্যুতিক বাতি। মসজিদে নববি, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের স্থাপনার আদলে তৈরি মিনারটির নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –