• শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

  • || ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তীব্র গরমে বিপাকে কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৩  

গত কয়েক দিন ধরে কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপদাহ। সকাল থেকেই রোদের তীব্রতা থাকে প্রখর। দুপুরে বাইরে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল ৩টার তথ্য অনুযায়ী জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাতের তাপমাত্রা বিরাজ করছে ২১-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 

দেখা গেছে, রোদ আর গরমে জীবন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে দিনমজুর, রিকশাচালক, অটোরিকশা চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক ও ভ্যান চালকরা গরম উপেক্ষা করে বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকে রোজা রেখেই করছেন দিনমজুরির কাজ। এদিকে রোদ ও তীব্র গরমের কারণে রাস্তাঘাট ও শহরে মানুষের উপস্থিতিও কিছুটা কমে গেছে। 

সদরের হলোখানা ইউনিয়নের মোক্তারের হাট এলাকার ঘোড়ার গাড়ি চালক মিলন মিয়া বলেন, এতো গরম গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার তো কষ্ট হয়ই, অবুঝ প্রাণী ঘোড়ার আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। একবার ভাবি গরমে বের হবো না। কিন্তু গাড়ি না চালালে যে সংসার চলবে না। আবার গরম বেশি পড়ায় আয়ও কম হচ্ছে। 

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিল পাড়া এলাকার একরামুল হাসান বলেন, এতো পরিমাণে রোদ ও গরম বাড়ি থেকে বাইরে হওয়া যাচ্ছে না। দিনে গরমে থাকা যায় না, আর রাতে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। 

ওই ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার দিনমজুর রফিকুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে প্রচণ্ড গরম। এ কারণে মাঠে কাজ করতে পারছি না। 

হাঁড়িপাতিল ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন ঢাকা থেকে ব্যবসা করার জন্য কুড়িগ্রাম এসেছি। এখানে হেঁটে হরেক রকম মালামাল বিক্রি করছি। কয়েকদিন থেকে গরমে অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু কী আর করার, কাজের জন্য আসছি কাজ না করলে তো চলবে না। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সবুর হোসেন বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা  তাপমাত্রা এ রকম অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ৭২ ঘণ্টা শেষে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. শাহিনুর রহমান সর্দার বলেন,গরম বেশি হলেও এখনো হাসপাতালে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে। দেখা গেছে আগের চেয়ে রোগী কিছুটা কমেছে হাসপাতালে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –