পৃষ্ঠপোষকতায় প্রসার ঘটবে মৃৎশিল্পের
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৩
এক সময় মাটির জিনিস তৈরিতে চৈত্রমাস জুড়ে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করতেন। কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যাওয়া এ শিল্পটি বৈশাখ এলেই ফিরে আসে মৃৎশিল্পীদের হাতে। বৈশাখকে সামনে রেখে বিভিন্ন হাট বাজারের কোনায় কোনায় বসে বিক্রি করে তাদের হাতের তৈরি এসব জিনিসপত্র। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো মাটির পণ্যের চাহিদা ফুরিয়ে যায়নি। যদিও আগের মতো এখন আর মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবসা বা চাহিদা নেই।
মার্কেটে মেটালের জিনিসপত্র আসার পর থেকে মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা কমে গেছে। আর মাটির তৈরি জিনিসপত্র আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের আরো প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অতীতকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বৈশাখে বাঙালিদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই নববর্ষের পহেলা বৈশাখে। হাতের তৈরি মাটির তৈরি থালা-বাসন, বিভিন্ন খেলনা তৈরির কাজ শেষ করে বৈশাখী মেলার জন্য প্রস্তুত মৃৎশিল্পীরাও। লক্ষ্য এবার বৈশাখী মেলা সামনে রেখে বেচা-বিক্রি বাড়াতে হবে। অপরদিকে বৈশাখকে সামনে রেখে গ্রামগঞ্জের টিনের চালাসহ বিভিন্ন দোকানগুলো সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রঙে। আবার হরেকরকম রং দিয়ে লেখা আছে শুভ হালখাতা।
সীমান্তবর্তী এ জেলায় কর্মহীন অনেক মানুষই এখন দারিদ্রতার শিকার। তিস্তা, ধরলা ও রত্নাই নদীর আগ্রাসিতায় ছিন্নভিন্ন এ জনপদ। কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে বেড়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমন সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়ের সারা জাগানো উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের মৃৎশিল্প। তবে শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছেন জেলার কয়েকটি মৃৎশিল্প মাত্র কয়েকটি পরিবার।
পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। জেলায় ৮০-৯০ দশকেও এ শিল্পটি ছিলো জমজমাট। কালের বিবর্তনে এখন জেলায় মাত্র ১৫ থেকে ১৬টি পরিবার এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শত কষ্টের মধ্যেও সদর উপজেলার হাড়াটি ইউপির কুমারপাড়া এ শিল্পটিকে এখনো আঁকড়ে ধরে আছে সেখানকার গুটি কয়েক পরিবার।
হাড়াটি ইউপির কুমারপাড়ার ধীরেন চন্দ্র পাল বলেন, দাদার আমল থেকে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে আসছি। দাদা মারা গেলে বাবা দায়িত্ব নেন। বাবা পরপারে চলে গেলে এখন আমিই এ শিল্পটা ধরে রেখেছি। জীবন বাঁচার তাগিতে অনেকে এ শিল্প ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। বর্তমানে একমাত্র আমরাই এ শিল্পকে ধরে রেখেছি।
এ শিল্পের কাজ করে কি সংসার চলে এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, শুধু বৈশাখ আসলেই এ কাজে হাত দেই। তাছাড়া ১২ মাসে তো অন্য কাজ করে সংসার চালাতে হয়। বাইরে যখন কাজ থাকে না, ঐ সময় আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কাজ করি, অনেকে রিকশাও চালান। এরপর আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন বৈশাখ আসবে।
কিমার বেরেন চন্দ্র পাল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো প্রণোদনা পাইনি। একদিন কাজ না করলে আমাদের পেটে ভাত যায় না। আমাদের কি এত ঘোরার সময় আছে কাগজের জন্য। ট্রেনিং করাবে বলে তিন বছর আগে কাগজ দিয়েছি, এখনো ট্রেনিং করতে পাই নি।’
কুমারপাড়ায় কাদা মাটিকে পুঁজি করে নিজেদের আদি শিল্পকে ধরে রেখেছেন কুমাররা। ক্ষুদ্রভাবে তৈরি হচ্ছে, হাড়ি, পাতিল, ঘটি, কলসি, মাটির প্লেট, বাটি, বাটনাসহ বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজের শিল্প। নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পের অবয়ব। বৈশাখে বাড়তি উপার্জনের আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন শিল্পীরা।
রাপিন চন্দ্রপাল বলেন, হাত দিয়ে সব শিল্পের কারুকার্য তৈরি করি। মাটির তৈরি করার মেশিন ও হাড়ি পাতিল তৈরি করতে মটরসেট পেলে, এ কাজটি আরো ভালোভাবে করতে পারতাম। এখন আমাদের সাধ্য নেই এগুলো কেনার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, ‘কুমাররা এক সময় এ পেশাকে উপলক্ষ করে তাদের জীবন চলতো। তখন কুমারপাড়ার জমজমাট অবস্থা ছিলো। কারিগররা আসতো কাজ করতো, ভ্যান দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় (গ্রামগঞ্জে) এগুলো বিক্রি করতো। এখন আর মানুষের মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্রের চাহিদা নেই।’
লালমনিহাট জেলা বিসিক কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক এহেসানুল হক বলেন, মাটির তৈরি এ শিল্পটিতে যে ইনভেস্ট করা হয় এটি সামান্য। আমরা এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু সেটিও যথেষ্ট না। আমরা যে তাদের আর্থিক সাহায্য করবো এজন্য আমাদের ল্যান্ড, জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে নিয়মগুলো রয়েছে সেগুলো তারা অর্জন করতে পারে না।
সিলভার মার্কেটে আসার পর থেকে মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা কমে গেছে। সেটি আস্তে আস্তে এখনো হারিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের আরো প্রসার ঘটবে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- এবছর রংপুরের তিন নদীতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ
- বৃষ্টিতে খেলা বিঘ্ন হওয়ায় হতাশ শান্ত
- ডেঙ্গুতে আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬০
- পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত কমিটি বাতিল
- যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন হেলেনের তাণ্ডব, নিহত ৪৪
- আবারও বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
- বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ২ ভারতীয় নাগরিক আটক
- চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
- গুলশানে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার
- দিনাজপুরে জাল চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
- উজানের ঢলে বাড়ছে তিস্তার পানি, উত্তরে বন্যার আশঙ্কা
- নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
- আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
- ফোল্ডেবল আইফোন আসছে কবে?
- বায়ুদূষণে শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থান কোথায়?
- অভিনেতা জামাল উদ্দিন লাইফ সাপোর্টে আছেন
- নামাজের সময়সূচি: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ভারতে বিদায়ী সংবর্ধনা পাচ্ছেন সাকিব
- লেবানন ‘নতুন আরেকটি গাজা’ হয়ে উঠতে পারে না
- নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
- আজ জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভাষণ
- কুকুরের কামড়ে হাসপাতালের নার্সসহ ১৪ জন আহত
- সুপ্রিম কোর্টের ২৫০০ কর্মীর জন্য প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা
- শিগগির দেশে ফিরছেন না জায়েদ খান
- বাংলাদেশের জন্য কানপুরে প্রস্তুত কালো মাটির পিচ
- নামাজের সময়সূচি: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে সোনা
- বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে ১৭ অঞ্চলে, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
- লেবাননে স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
- সংস্কারের জন্য বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
- চাঁদাবাজদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নেই: মির্জা ফখরুল
- রেসিপি: দারুণ স্বাদের চুই ঝালের গরুর মাংস ভুনা
- ‘বরবাদ’-এ কি শাকিবের সঙ্গে শাবনূর-জানালেন নির্মাতা
- যুক্তরাষ্ট্রে ছড়াচ্ছে মশাবাহিত বিরল রোগ, নেই চিকিৎসা
- বন্যায় ১২০৬ স্কুল-কলেজের ক্ষতি, ৫৬৫টিতে ক্লাস বন্ধ
- টাইফুন ‘ইয়াগি’ এখন বঙ্গোপসাগরে, রাতের মধ্যেই নিম্নচাপের শঙ্কা
- বিশ্বনবি (সা.) শরীর ব্যথায় যে দোয়া পড়তেন
- শাকিব-সিয়ামের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ!
- ‘আমাকে আর কেউ চাকরি দেবে না, বলবে তোর পা নেই’
- ঢামেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- পদত্যাগ করলেন চমেবি উপাচার্য
- অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা: তারেক রহমান
- প্রশাসনিক শূন্যতায় স্থবির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, বন্ধ জরুরি বিভাগ
- পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে যে ৪ সবজি
- ছয় প্রতিষ্ঠান-সংস্থা সংস্কারের দায়িত্ব পেলেন ৬ বিশিষ্ট নাগরিক
- পঞ্চগড়ে নিহত চারজনের পরিবারকে এক লাখ করে অর্থ সহায়তা
- উইন্ডশিল্ডে ফাটল, দুবাই ফেরত গেল বিমানের ফ্লাইট
- অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল
- এবার ভারতে শনাক্ত হলো মাঙ্কিপক্স