• রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

  • || ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তীব্র গরমে নাজেহাল কুড়িগ্রামের মানুষ 

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩  

উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষজন।

মঙ্গলবার বিকেলের তথ্য অনুযায়ী জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা মৃদু তাপপ্রবাহের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। তার আগে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। 

এদিকে এই রোদের মধ্যে ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রায় দিনমজুর, রিকশাচালক, অটোরিকশা চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক ও ভ্যান চালকরা পড়েছেন বিপাকে। এই রোদ ও গরমে জীবন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মাঠে কাজ করছেন তারা। অনেকে রোজা রেখেই করছেন কষ্টের কাজ। এদিকে রোদ ও তীব্র গরমে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। অনেকে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও গামছা ব্যবহার করছেন। 

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের কাশেম মিয়া নামের একজন ভ্যান চালক বলেন, কয়েকদিন থেকে এতো পরিমাণে রোদ ও গরম পড়ছে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। গাড়ি চালানোর সময় মনে হয় জীবন বেইর হয়ে যায়। কী আর করার ভাই কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না। গরম পরুক ঠিক আছে, কিন্তু কয়েকদিন থেকে ভাড়াও কেন জানি অনেক, বুঝছি না। মনে হয় গরমের কারণে ভাড়া কম, তাতে আবার রমজান মাস। 

ওই ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, রোদে অবস্থা খারাপ। আমাদের চরে তো গাছপালা নেই, এই জন্য আরও বেশি গরম। এই রোদে বাড়ি থেকে বের হলেই বিপদ। কোথাও যে ঠান্ডায় গিয়ে দাঁড়াব তারও জায়গা নাই। বালু মাটিতে হাঁটাও যায় না, বালু যে এতো গরম হয়। যাই হোক অনেক কষ্ট করে যাত্রাপুর হাটে এলাম। বাজার করেই চলে যাব, আর দেরি করব না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সবুর হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই।

 কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. শাহিনুর রহমান সর্দার বলেন, কুড়িগ্রামে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এখনও হাসপাতালে রোগীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। এই গরমে শিশুদের বাবা-মাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। বিশেষ করে তারা যেন বাইরের কোনো খাবার বাচ্চাদের না খাওয়ান। গরমে বাচ্চাদের গা ঘেমে গেলে মুছিয়ে দিতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। যদি কখনও কোনো সমস্যা হয় যেমন সর্দি ও কাশি হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –