রংপুরে সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনায় আটক ১

পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিককে বাধা ও হেনস্থার হুকুম দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রংপুর কর অঞ্চলের প্রধান অফিস সহকারী মতিয়ার রহমান মিঠুলকে গ্রেফতার করেছে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর কর অঞ্চলের প্রধান অফিস সহকারী (বাণিজ্যিক শাখা) মতিয়ার রহমান মিঠুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য সোমবার পেশাগত দায়িত্বে মিঠুলের গ্রামে যান অবজারভারের রংপুর প্রতিনিধি লাবনী ইয়াসমিন। তথ্য সংগ্রহের একপর্যায়ে মিঠুলের বাড়ির প্রবেশদ্বারে সাটানো কর অঞ্চলের নেমপ্লেটের ছবি দেখলে ছবি তোলেন। এরই মধ্যে খবর চলে যায় অফিসে কর্মরত মিঠুলের কাছে।

সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন কর অঞ্চলের প্রধান অফিস সহকারী মতিয়ার রহমান মিঠুলের হুকুমে ওই সাংবাদিককে রাস্তায় আটকে নানা অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। মিঠুলের বাড়ির ছবি মুছে তারপর সাংবাদিককে ছাড়া হবে বলে প্রায় ৬০-৭০ জন ঘিরে ফেলেন এবং জীবননাশের হুমকি দেন। প্রায় একঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর গঙ্গাচড়া মডেল পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় সাংবাদিক লাবনী ইয়াসমিন পাঁচজনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন-  ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন (৪৫), মতিয়ার রহমান মিঠুল (৪৬), রিয়াজ হোসেন (২৮), ঝণ্টু চন্দ্র রায় (৫০) ও মো. জিয়া (২২)।

পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের আল্টিমেটামের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৌভাষা হাজির বাজারের বাসা থেকে আসামি মতিয়ার রহমান মিঠুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে আসামি মতিয়ার রহমান ওরফে মিঠুলকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে গঙ্গাচড়া আমলি আদালতে তোলা হয়। সেখানে তার পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

মামলার এক নম্বর আসামি আলমগীর হোসেন ছাড়াও বাকি তিনজন জামিন নিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।