• রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

  • || ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রৌমারীতে ১০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও নারীলোভী বিদ্যুত

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও বিদ্যুত প্রামাণিক নামের এক প্রতারক। তিনি উপজেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে এই টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতারক বিদ্যুত পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের ঘুঘুমারি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক বিদ্যুত ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের নাম ভাঙিয়ে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভিজিডির নাম দেওয়ার কথা বলে গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। কিন্তু কার্ড বা চাকরি না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে বিদ্যুতের বাড়িতে ধরনা দেন। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে স্ত্রী-সন্তান রেখে গোপনে উলিপুর এলাকার এক গৃহবধূকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিদ্যুত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুত প্রথমে বিয়ে করেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরনাবাড়ি গ্রামের জান্নাতি নামের এক মেয়েকে। কিছুদিন ঘর সংসার করার পর তিনি জান্নাতিকে তালাক দেন। পরে উপজেলার সুখেরবাতি গ্রামের জুলেখা নামের এক মেয়েকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সেই ঘরে একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। এদিকে, আবার সেই সাবেক প্রথম স্ত্রীর আপন খালাতো বোন মমতা বেগমের সঙ্গে তার প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মমতাকে নিয়ে নারীলোভী বিদ্যুত আবার পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগী আসমা খাতুন বলেন, কয়েকজনকে ভিজিডি, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেবেন বলে আমার কাছ থেকে টাকা নেন বিদ্যুত। নামগুলো না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন। পরে তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি তিনি স্ত্রী-সন্তান রেখে অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুত প্রামাণিকের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে থেকে আসমা নামের কেউ কোনো টাকা পায় না।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, বিদ্যুতের সঙ্গে আমার কোনো লেনদেন নেই। 

রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন, বিদ্যুতের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা টাকা পাওনার অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –