• রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

  • || ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৩০ সড়ক মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩  

                    
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৩১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ৩০টি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে যাওয়া যাবে। প্রতিটি সড়কের শুরুতে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ছবি সম্বলিত পাকা নামফলক।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত ২৫টি সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৬টি সড়কের ফলক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আরগুলো সমাপ্তের পথে। স্বাধীনতার মাসেই উদ্বোধন করা হবে। পর্যাক্রমে অন্যদের নামেও সড়কের নামকরণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

জানা যায়, উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ২৭২ জন। তাদের মধ্যে বর্তমান ১৩৫ জন জীবিত আছেন। প্রথম পর্যায়ে ৩১ জনের নামে ৩০টি সড়কের নামকরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুইটি করে সড়কের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হয়। এতে খরচ হয় মোট ৭০ হাজার টাকা। উপজেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্তক্রমে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের (ইউনিয়ন পরিষদের অংশ) ১ শতাংশ থেকে এ টাকা ব্যয় করা হয়।

সড়কগুলো হচ্ছে- উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল মিয়া সড়ক ও আবদুল জলিল মিয়া সড়ক, সোনারায় ইউনিয়নে তোফাজ্জাল হোসেন সড়ক ও আবদুল কুদ্দুছ মিয়া সড়ক, তারাপুর ইউনিয়নে আবদুল লতিফ সরকার সড়ক ও আবুল হোসেন সড়ক, বেলকা ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান সড়ক ও ফেরদৌস আলী সড়ক, দহবন্দ ইউনিয়নে এনামুল হক সড়ক ও নুরুল ইসলাম সড়ক, সর্বনান্দ ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম সড়ক ও সন্তোষ কুমার চৌধুরী সড়ক, রামজীবন ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম সড়ক ও শাহজালাল আহমেদ সড়ক, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে মৃত আব্বাস আলী সড়ক ও হাফিজ উদ্দিন মন্ডল সড়ক, ছাপড়হাটি ইউনিয়নে মুনছুর আলী সড়ক ও মৃত মনোজ কুমার রায় সড়ক, শান্তিরাম ইউনিয়নে মনোরঞ্জন বর্মন সড়ক ও জহির উদ্দিন সড়ক, হরিপুর ইউনিয়নে আজিজুর রহমান সড়ক ও আমজাদ হোসেন সড়ক, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে মফিজল মিন্ত্রী সড়ক ও নুরুজ্জামান মিয়া সড়ক, শ্রীপুর ইউনিয়নে মো. ছলেমান সড়ক ও আবদুল মান্নান আকন্দ সড়ক, কাপাশিয়া ইউনিয়নে আমজাদ হোসেন সড়ক ও লায়েক আলী খান মিন্টু সড়ক, চন্ডিপুর ইউনিয়নে ফজলার রহমান ও দেওয়ান আব্দুল হামিদ সড়ক এবং নুরুল হক সড়ক।

সড়কের নামকরণ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার এমদাদুল হক বলেন, যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। তাদের নামে সড়কের নামকরণ হচ্ছে। এ জন্য নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। যা দেখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনে রাখবে।

একই মন্তব্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য দেওয়ান আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো মহৎ উদ্যোগ। এটা সারাদেশে হওয়া উচিৎ।

সুন্দরগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ জয়ের পর সড়ক দিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। সেটি কল্পনা করে, তার বাড়ি যাওয়ার সড়কটি সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে করা হয়েছে। সড়কের নামকরণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের পরিবারকে মর্যাদা দেওয়া। সমাজের সকলই যেনো তাদেরকে স্মরণ রাখেন।

তিনি আরো বলেন, সড়কগুলোর নাম উপজেলা পরিষদের সভায় রেজুলেশন করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –