• সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

  • || ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের পরিণতিতে কলেজছাত্র হত্যা! আটক ৪

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৩  

 
দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের পরিণতিতে কলেজছাত্র শাহরিন আলম বিপুল হত্যার ঘটনায় মূল হত্যাকারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় দুইটি মোটরসাইকেল এবং ৪টি এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোন উদ্ধার করন তারা।

আটককৃতরা হলো দেলোয়ার হোসেন দিনাজপুর সদরের শালকি (বোয়ালমারী) গ্রামের মোঃ রশিদের ছেলে, তার সহযোগী শাকিব শাহরিয়ার দিনাজপুর শহরের পুরাতন ৬ নং উপশহরের পাওয়ার হাউজ এলাকার উজ্জল হোসেনের ছেলে, আশরাফুল হোসেন মিলন দিনাজপুর সদরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে, আসিফ মাহমুদ হৃদয় দিনাজপুর শহরের ৭ নং উপশহরের হাউজিং মোড় এলাকার হামিদুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ  সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

পুলিশ সুপার জানান, প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে গত ৬ মার্চ জেলা স্টেডিয়ামের পূর্ব উত্তর দিকের গ্যালারির নিচে ময়লা-আবর্জনার মধ্যে অর্ধগলিত অবস্থায় সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শাহরিন আলম বিপুলের লাশ উদ্ধার করেন তারা। তার আগে নিখোঁজের বিষয়ে গত ৪ মার্চ কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড়ভাই শাহরিয়ার আলম। লাশ শনাক্তের পরে একজনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা রেকর্ডসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পাকারী দেলোয়ার হোসেন এবং তার সহযোগী শাকিব শাহরিয়ার, আসিফ মাহমুদ এবং আশরাফুল হোসেন মিলনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, একজন কলেজগামী প্রেমিকার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রেমিক শাহরিন আলম বিপুলকে সরিয়ে দিতে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ভাব জমিয়ে ফাঁদে ফেলে আরেক প্রেমিক দেলোয়ার হোসেন। ফটোগ্রাফিতে তার দুর্বলতা জেনে নিয়ে ক্যামেরা দেওয়ার কথা বলে নির্জন স্থান হিসেবে স্টেডিয়াম এলাকায় ডেকে আনেন দেলোয়ার হোসেন। 

এসময় হত্যার জন্য অপেক্ষায় থাকা অন্য সহযোগীদের সহায়তায় তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে লাশ স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিচে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে রেখে যায় তারা। হত্যা নিশ্চিত করে শাহরিন আলম বিপুলের মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারের সব তথ্য মুছে ফেলে হত্যাকারীরা। কিন্তু পুলিশী তদন্তে সব রহস্য উম্মোচন করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করাসহ প্রথম দফায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, ১৬১ ধারায় থানায় এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ডসহ আরো তথ্য উদ্ধারের প্রয়োজনে রিমান্ডের আবেদনসহ আসামিদের আদালতে তুলে দিবেন তারা। 

এ  সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সমন্বিত পরিকল্পনায় সদর সার্কলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন, কোতোয়ালী থানার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা শাহ্ এবং তদন্তকারী অফিসার উপপরিদর্শক শামীম হক প্রমুখ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –