• সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

  • || ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুন্দরবনে অপরাধ মনিটরিংয়ে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কার্যক্রমে গতিশীলতাও এসেছে। তিনি বন্য প্রাণী সংরক্ষণে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।  

রবিবার বন অধিদপ্তরে ‘সকলের অংশগ্রহণ, বন্য প্রাণী হবে সংরক্ষণ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বন এবং বন্য প্রাণিকুল বিপন্ন হলে মানবসভ্যতাও বিপর্যস্ত হবে জানিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, মানবসভ্যতার অস্তিত্বের স্বার্থেই বন এবং বন্য প্রাণী রক্ষা করতে হবে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণে কাজ করতে হবে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার দেশে ২৪টি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, ১৯টি জাতীয় উদ্যান, দুটি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, তিনটি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, একটি উদ্ভিদ উদ্যান, তিনটি ইকোপার্ক, দুটি শকুন নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া দুটি রামসার সাইট ও ছয়টি ফ্লাইওয়ে সাইট রয়েছে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; সচিব ফারহিনা আহমেদ এবং আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমদ প্রমুখ। 

শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্য প্রাণী অপরাধ উদঘাটনে (তথ্য প্রদানকারী) পুরস্কার প্রদান বিধিমালার আওতায় তথ্যদাতাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ‘বন্য প্রাণীর আক্রমণে জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা-২০২১’ অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির পরিবারকে তিন লাখ এবং আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। বন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণকাজে নিয়োজিতদের জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১২’ নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে হাঙর ও শাপলা পাতা মাছ সংরক্ষণে একটি অ্যাকশন প্লান প্রণয়ন এবং এগুলোর বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নন-ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস তৈরি করা হয়েছে। দেশে বন্য প্রাণীর সংখ্যা, প্রকৃতিতে তাদের অবস্থা ও আবাসস্থলের হুমকিগুলো জানার জন্য ‘রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –