• সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

  • || ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পছন্দের বিষয়ে ভর্তির এক মাস পর শিক্ষার্থীদের বিভাগ পরিবর্তন

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩  

‘পছন্দের বিষয় পাওয়ায় ভর্তি হয়েছিলাম। ১ মাস ক্লাসও করেছিলাম এখন জানানো হলো আমাকে পড়তে হবে অন্য বিষয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিষয় পাওয়ায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করে এখানে ভর্তি হয়েছিলাম। যখন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ভর্তির সুযোগ নেই তখন পছন্দের বিষয় কেড়ে নিয়ে পাঠানো হচ্ছে অন্য বিভাগে।’ কথাগুলো বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত। 

রিফাত বলেন, আমি গত ৬ ফেব্রুয়ারি আমার পছন্দক্রম অনুযায়ী অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হই। এখন আমাকে ক্রমের ৯নং জেন্ডার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগ দেওয়া হয়েছে।

শাহরিয়ার রহমান সিয়াম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি অর্থনীতি বিভাগ পেয়ে ভর্তি হয়েছিলাম এখন আমার বিভাগ এসেছে পছন্দক্রমের ৪নং বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া ৩০ নবীন শিক্ষার্থী একই অভিযোগ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে পছন্দের বিষয় বরাদ্দ পাওয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। প্রায় এক মাস ধরে ক্লাস করছি। সবকিছু ঠিকই চলছিল। হঠাৎ দুই দিন আগে মার্চ মাসের ১ তারিখে জানতে পারি আমাদের পড়তে হবে পছন্দ তালিকার নিচের বিষয়ে। এখন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন জমা দিয়েছি যেন বিভাগ পরিবর্তন না করা হয়।

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখ গণ ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অধীনে পরপর ৩টি মেধা তালিকা প্রকাশ করে ভর্তি নেওয়া হয়। যার মধ্যে শেষের ২টি মেধা তালিকার ফলাফল নম্বর সমন্বয় না করেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হয়। ভর্তির প্রায় একমাস পর যখন ভর্তি ফলাফল নম্বর সমন্বয় করা হয় তখন অনেক শিক্ষার্থী পছন্দক্রমের নিচের বিষয় বরাদ্দ পেয়েছেন।

এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, গুচ্ছ ভর্তি বন্ধের আশঙ্কা থাকায় গত মাসের ৬ তারিখে একই দিনে একাধিক মেধাতালিকায় ভর্তি নেওয়া হয়। ওই সময় ভর্তি ফলাফল নম্বর সমন্বয় না করেই ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এখন ভর্তি ফলাফল নম্বর সমন্বয় করায় কিছু শিক্ষার্থীর বিষয় পরিবর্তন হয়েছে। তবে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম নেওয়া হয়েছিল এবং জানতে চাওয়া হয়েছিল পছন্দক্রম অনুযায়ী যে কোনো বিষয় বরাদ্দ পেলে তারা পড়তে ইচ্ছুক কিনা। এতে তারা সম্মতিও জানিয়েছিল।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –