• মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩১

  • || ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চরাঞ্চলে রবি মৌসুমে বেড়েছে ভুট্টার চাষ             

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

নাগেশ্বরীতে বেড়ছে ভুট্টার চাষ। ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, দুধকুমর, ফুলকুমর, শংকোষ নদ-নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে রবি মৌসুমে মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে ভুট্টার সবুজ খেত। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক। 

উপজেলার বৃহৎ অংশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নদ-নদীর ভাঙ্গন নেশায় তৈরি প্রায় শতাধিক ছোট-বড় চরাঞ্চল। বন্যায় এর ওপর দিয়ে অনেক উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। অন্য সময় তা ধুসর বালুকাময় বিস্তীর্ণ ভূমি। আগে পতিত থাকলেও এখন এতে পরীক্ষামুলক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। শস্যাবর্তন মেনে মাটির উপযোগিতায় একেক সময় একেক রকম ফসল ফলানো হচ্ছে এসব জমিতে। সম্প্রতি রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের চেয়ে চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হচ্ছে। ধান ও গমের তুলনায় এর পুষ্টিমান বেশি হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক। কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় তাই ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। ক্রমেই তা সম্প্রসারিত হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভা, রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ি, কালীগঞ্জ, ভিতরবন্ধ, কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাষ, নুনখাওয়া, নারায়নপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে ভুট্টার সবুজ খেত। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। কৃষি অফিসের পরামর্শে খেতে প্রয়োজনীয় সেচ, বালাইনাশক ও সার প্রয়োগে নিয়মিত সুষ্ঠু পরিচর্যা করে আসছেন তারা।

নারায়নপুর ইউনিয়নের কালারচরের আইনুল হক বলেন, এ শস্যটি বিঘা প্রতি ফলন হয় ৩০ মণের ওপরে। যা বিক্রি হয় মণ প্রতি ১২শ থেকে ১৪শ টাকা টাকা দরে। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ভাল লাভ তাই তিনি প্রতি বছরই ভুট্টা চাষ করেন। এবারেও তিনি তার প্রায় ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। গাছে গাছে ফুলের কুঁড়ি আসতে শুরু করেছে। ফলন ভালো হবার আশা করছেন তিনি।

নামারচর এলাকার জাবেদ আলী তার ৩ বিঘা, মাঝের চরের জয়নাল মিয়া ২ একর, পাখি উড়ার রহমত আলী তার ১০ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করছেন। তারাও আশা করছেন অনুকুল আবহাওয়ায় মৌসুম শেষে ভুট্টায় লাভবান হবেন। কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী এবারে ১ হাজার ৪শ ১০ হেক্টর জমিতে কৃষক ভুট্টার চাষ করেছেন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় তাদের ৭৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে বিএডিসি থেকে সরবরাহকৃত ২ কেজি ভুট্টা, ২০ কেজি ডিএপি সার  এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের কৃষকরা বেশ উৎসাহের সঙ্গে ভুট্টা চাষ করছে। কিভাবে তারা লাভবান হবেন সেটা লক্ষ্য রেখেই ভালো ফলন পেতে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –