• মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩১

  • || ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাইপ লাইনে গ্যাস যাচ্ছে উত্তরের ১১ জেলায়, বদলে যাবে অর্থনীতি

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

দেশের উত্তর জনপদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। এ অঞ্চলের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা চলে কৃষির ওপর ভর করে। ফলে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় বেকার থাকেন এখানকার দৈনন্দিন আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষ। উদ্যোক্তা থাকলেও গ্যাসের অভাবে এ অঞ্চলে গড়ে ওঠেনি ভারী কোনো শিল্প। ফলে দীর্ঘ সময়েও তৈরি হয়নি কাজের সুযোগ। হয়নি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।

তবে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উচ্চচাপসম্পন্ন গ্যাস পাচ্ছেন উত্তরের মানুষ। এরই মধ্যে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের এ পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস পৌঁছে যাবে রংপুর, নীলফামারীসহ উত্তরের ১১ জেলায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন জোরেশোরে চলছে সিজিএস ও টিবিএস নির্মাণের কাজ। এরই মধ্যে দুটি টিবিএস হচ্ছে রংপুর ও পীরগঞ্জে। এছাড়াও গ্যাস সরবারহের জন্য রংপুর, পীরগঞ্জ ও সৈয়দপুর মিলে থাকবে তিনটি স্টেশন। সৈয়দপুরের গ্যাস সরবরাহের স্টেশনটি হবে ১০০ মিলিয়ন ক্ষমতাসম্পন্ন।

নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপ লাইনে স্থাপনের কাজ করছে ভারতের জিপসাম স্ট্রাকচারাল কোম্পানি। এরই মধ্যে নদী ক্রসিংয়ের কাজ দুটি শেষ হয়েছে, চলমান রয়েছে আরও একটি। ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ক্ষতি এড়াতে সেখানেও ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প, কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত হবে।

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি এস এম সফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, আমাদের ইপিজেড আছে। গ্যাস এলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা হবে। লেবার কষ্ট কম থাকায় শিল্পের অপার সম্ভবনা আছে এ অঞ্চলে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপক দেবাশিষ কুমার বিশ্বাস বলেন, এ প্রকল্পে নদী ড্রিলিং কাজ আন্তর্জাতিক ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হচ্ছে। পাইপ লাইন করেছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সবার সহায়তায় কাজগুলো সফলভাবে করছি। সঠিক সময়েই রংপুরবাসীকে গ্যাস সরবারহ করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য আমাদের তিনটি স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে সৈয়দপুরে ১০০ মিলিয়ন, রংপুরে ৫০ মিলিয়ন ও পীরগঞ্জ স্টেশন ২০ মিলিয়ন ক্ষমতাসম্পন্ন। চলতি বছরেই কাজ শেষ হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –