• বুধবার ০২ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩১

  • || ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২৩  

উত্তরের হিমেল হাওয়া জবুথবু কুড়িগ্রাম। দিন যতই যাচ্ছে তাপমাত্রা ততই কমছে। এতে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আরমান বলেন, ‘এত ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে উঠে নাই। আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। এ ঠান্ডায় কাজ করতে একদমই মন চায় না।’

আরেক কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘শীত ঘন কুয়াশায় রোপা আমন বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এভাবে শীত পড়লে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।’

গৃহবধূ শাহেরা খাতুন মিনা বলেন, ‘ঠান্ডায় কাজ তো দূরের কথা বাইর হওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। বাধ্য হয়ে খুড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আজ রেকর্ড হওয়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মৃদু শৈত্য প্রবাহের এখনো নিচে আছে। এ মাসে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এছাড়া মাসে দু-তিনটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল। শীতে এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। এখানে কম করে হলেও ৫-৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ আছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে ৭০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিতরণও করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ ছাড়া সরকারি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –