• বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘কম্বলটা পেয়য়া মোর খুব উপকার হইল’

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২  

‘কম্বলটা পেয়য়া মোর খুব উপকার হইল’                                  
‘কয়দিন থাকি খুব ঠান্ডা হামার এডাই (আমার এখানে)। আইতোদ (রাতে) দুই খ্যান খেতা গাত (গায়ে) দিয়া থাকোং ঠান্ডা যায় না। ঠান্ডায় ফির আইতোদ ঘুম হয় না। আজ কম্বল একটা পেয়য়া (পেয়ে) খুব উপকার হইল।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের দোয়ালি পাড়া গ্রামের মেহের জামাল (৭০)।
 
তিনি বলেন, এতো ঠান্ডা না, মেম্বার চেয়ারম্যান কাউও খোঁজ খবর নিবার আইসে নাই। যাইহোক বাবা কম্বলটা পেয়য়া অনেক ভালো হইল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের আরডিআরএস অফিস চত্বরে শতাধিক দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ঢাকার আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন।

শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহীন আহমেদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আলী, ইউপি সদস্য (মেম্বার) রহিম উদ্দিন হায়দার রিপন, চেয়ারম্যান ছেলে উমর ফারুক ও ফরহাদ রেজা প্রমুখ।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, শীত ও খরায় সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়। তাদের কষ্টের কথা শুনে আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিমউদ্দিন হায়দার রিপন বলেন, ঢাকার আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন আমার এলাকায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করল। তাদের শীতবস্ত্র পেয়ে সবাই অনেক খুশি হয়েছে। আমি বলব যেকোনো দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল মানুষ এগিয়ে আসলে এসব মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।
#ঢাকাপোস্ট।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –