• বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, জনজীবনে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২  

কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। দিন যতই গড়াচ্ছে তাপমাত্রা কমতে শুরু করছে। সেইসঙ্গে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে জেলার জনপদ। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে শীতের প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়ছেন বিপাকে। কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজনের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শীত। শিশু-বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবে শুরু হয়েছে নানা ভোগান্তি।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, ঘন কুয়ার কারণে জেলার ট্রেন ও নৌ-চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে দেরি করে ছাড়ছে এসব যানবাহন। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বৃদ্ধরা।

এমতাবস্থায় চলতি মাসের শেষদিক থেকে বছরের শুরুতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে ও বছরের শুরুতে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকার মনছুর আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অত্যধিক কুয়াশা পড়ছে। সেইসঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। সরকারিভাবেও এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। শীতের কষ্ট দূর করতে আগাম শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলে আমাদের উপকার হতো।

সেনেরখামার গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, শীত উপেক্ষা করে আলু ক্ষেতের পরিচর্যা, বীজতলা তৈরিসহ নানা ধরনের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।

কুড়িগ্রামের দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কম্বল এরইমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা শাখা। এছাড়া বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া বলেন, বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –