নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৪
নামাজ (ফারসি: نماز) বা সালাত (আরবি: صلاة) ইসলাম ধর্মের ৫টি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামি শরিয়তে রয়েছে।
ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
আর তাই পরিপূর্ণভাবে নামাজ আদায়ের জন্য একাগ্রতা খুবই জরুরি। কিন্তু বহু নামাজি এ বিষয়ে উদাসীন! এর প্রতিকার কী?
ইমাম গাজালি (রহ.) তার বিখ্যাত ‘ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি ছয়টি বিষয়ের কথা বর্ণনা করেন, যা না থাকলে নামাজে মনোযোগী হওয়া যায় না।
চলুন তাহলে জেনে নিই, নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায় সম্পর্কে-
(১) নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন’। (বুখারি, হাদিস: ৫০; মুসলিম, হাদিস: ৮)
নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে ওজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না), তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় (অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়)’। (নাসাঈ, হাদিস: ১৫১; বুখারি, হাদিস: ১৯৩৪)
(২) নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে। অন্তত, সূরা ফাতিহা ও তাসবিহগুলোর অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কোরআন তেলাওয়াত করো’। (সূরা: মুজ্জাম্মিল, আয়াত: ৪)
রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতিটি সূরা তারতিলসহকারে তেলাওয়াত করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ৭৩৩, তিরমিজি, হাদিস: ৩৭৩)
(৩) নামাজে আল্লাহর প্রতি ‘তাজিম’ বা ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হও বিনীতভাবে।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৮)।
কাজেই ধীরস্থিরতা অবলম্বন করুন। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিকৃষ্টতম চোর হলো সেই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! নামাজে কীভাবে চুরি করে? তিনি বলেন, ‘যে রুকু-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না’। (মুসনাদ আহমাদ, মিশকাত, হাদিস: ৮৮৫)
(৪) নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জনৈক ব্যক্তি সংক্ষিপ্ত উপদেশ কামনা করলে তিনি তাকে বলেন, ‘যখন তুমি নামাজে দণ্ডায়মান হবে তখন এমনভাবে নামাজ আদায় করো, যেন এটিই তোমার জীবনের শেষ নামাজ’। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত, হাদিস: ৫২২৬)
(৫) নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কল্যাণ আশা করুন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো’। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ৪৫)
এই বিশ্বাস রাখুন, আল্লাহ আমার প্রতিটি প্রার্থনায় সাড়া দিচ্ছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়ালে সে মূলত তার প্রভুর সঙ্গে কথোপকথন করে। তাই সে যেন দেখে, কীভাবে সে কথোপকথন করছে’। (মুসতাদরাক হাকেম, সহিহুল জামে হাদিস: ১৫৩৮)
(৬) নামাজে নিজের গুনাহর কথা চিন্তা করে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার কথা ভেবে নিজের মাঝে ‘হায়া’ বা লজ্জাশরম নিয়ে আসুন। দণ্ডায়মান অবস্থায় একজন অপরাধীর মতো মস্তক অবনত রেখে এবং দৃষ্টিকে সিজদার স্থানের দিকে নিবদ্ধ রাখুন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) (দাঁড়ানো অবস্থায়) সিজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখতেন। (তাফসিরে তবারি: ৯/১৯৭)
উপরের ছয়টি বিষয় অনুসরণ করলে নামাজে মনোযোগ তৈরি হবে, ইনশাআল্লাহ! এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে ওজু করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সুন্দরভাবে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করে, তার এ নামাজ আগের সব গুনাহর কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য’। (মুসলিম, হাদিস: ২২৮)
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তেআলা আমাদের সহিভাবে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- ‘আমি ভীতু, আসিফ ভাই সাহসী, এজন্য তার বেশি সম্মান প্রাপ্য’
- ‘একজন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি আর কতদিন টিকবে’
- পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ফেরিওয়ালার লাশ
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা
- সামগ্রিক উন্নয়নে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে
- রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
- রংপুরে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি শুরু
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
- ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ওপর হামলা চালাতে পারে দখলদার ইসরায়েল
- আফগানিস্তানে রাস্তাঘাটের নামকরণ হবে ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুযায়ী
- ভারতে তিন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
- হিজবুল্লাহর তিন কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
- কাহারোলে বস্তায় সবজি চাষ করে সাফল্য
- শেষ সময়েও একা ছিলেন মনি কিশোর
- যে কারণে শিক্ষানবিশ পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
- ২৯ হাজার তরুণকে দেওয়া হবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ
- সবচেয়ে বড় ও উঁচু পিরামিডের চূড়ায় জীবন্ত কুকুর, অবাক বিশ্ব
- তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ
- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভটভটি উল্টে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত
- ছাত্রাবাসে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- চোর ধরিয়ে দিলে পুরস্কারের ঘোষণা বেরোবি প্রক্টরের
- বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে
- রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির, প্রধান শিক্ষক শিউলি
- হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ
- ইউটিউবে দেখে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন নীলফামারীর কৃষকরা
- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ১১টি ল্যাডার গাড়ি হস্তান্তর
- চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে গণফোরাম
- এবছর রংপুরের তিন নদীতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ
- গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলংকা যেভাবে বামপন্থীদের হলো
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯ মাদক ব্যবসায়ী আটক
- তেঁতুলিয়ায় ১৪ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মিজানুর রহম
- কুকুরের কামড়ে হাসপাতালের নার্সসহ ১৪ জন আহত
- বৃষ্টিতে খেলা বিঘ্ন হওয়ায় হতাশ শান্ত
- রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে ১০০ গর্ত
- পঞ্চগড় চিনিকল পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন
- দুর্গাপূজায় বাংলাবান্ধায় ৬ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ
- ফোল্ডেবল আইফোন আসছে কবে?
- কুড়িগ্রামে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ছাত্র-জনতার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শনিবার শুরু
- সম্পদের হিসাব দিতে হবে ইসি কর্মকর্তাদের
- এবার স্বচ্ছ ইয়ার ফোন আনলো নাথিং
- চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
- ব্রেইন ভালো রাখবে এই ৫ খাবার
- উলিপুরে বিদ্যুস্পৃষ্টে এক গৃহবধূর মৃত্যু
- চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন
- ডেঙ্গুতে আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬০